অনার্যব
ও হে সুধীজন,
খুব দায়সারা করে কুশল বিনিময় করে চলেছো
হাত মেলানো আদব কায়দায় বড়ো অভ্যস্ত তোমরা
গালিচায় মোড়ানো পরিশিলিত সমাজ ব্যবস্থায়।
কাটাচামচের টুংটাং শব্দে, তোয়ালেতে হাত মুছেই
ছুকছুক করে তোমাদের পরস্ত্রীকাতর মানসিকতা।
ওয়ালেটে ক্রেডিট কার্ড, তারপরেও থরে থরে সাজানো
হাজার, শতটাকার নোটের মাঝেও লোভাতুর দৃষ্টি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা তোমার ডায়নিং টেবিলের অনবদ্য আলোচনা।
স্ত্রী-সন্তান উচ্ছন্নে যাক, তাতে কোন দ্বিধা নেই
নিজেকে জাহির করবার লোভ সামলানো বড্ড দায়।
গাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সিগনালে পথশিশু কিংবা বৃদ্ধরা যখন হাত বাড়ায়,
বড্ড বিরক্তি ভেসে ওঠে মুখোশপড়া ওই মুখগুলোতে।
পাশে কর্পোরেট ভূবনের বন্ধুদের কাছে বিব্রতবোধ করে ফেল
সমাজের এই পতনকারী গোষ্ঠীগুলোর আহাজারিতে।
ওরা অচ্ছুত, এসির ভেতর জমে থাকা কালচার গলে কাঁচ নামেনা সেসময়
খসে না ওই থরে থরে জমিয়ে রাখা একটিও নোট।
শুধু উত্তর একটাই “ওদের কর্মফল, তাই এরা রাস্তায়।”
স্বাধীনতা নিয়ে কপচানো তোমাদের বুলিগুলো বড্ড বেমানান ও হাস্যকর শোনায় তখন।
আরো হাস্যকর শোনায় পৃথিবীর কোন প্রান্তে ধ্বংস হতে থাকা সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে আহা উহু করা বিবৃতি।
বরং, কোমরে জড়িয়ে রাখা ওই সহজলভ্য মেয়েদের সাথে অনর্গল কথপোকথন
আর কাঁচের গেলাসে খয়েরী বর্ণের ওই তরল পানীয়তে
তোমাদের এতদিনের উচ্চস্থানে পৌছে যাওয়া অগ্রগতি ভীষণ আবেদনশীল করে তোলে।
আমি সাবলীল দর্শক, উপভোগ করি তোমাদের উপেক্ষা আর কর্পোরেট কালচার।
জমিয়ে নাও তোমাদের জুতো জোড়া এই উন্নত বিশ্বে,
একদিন তোমরাও দেখবে তোমাদের বখে যাওয়া সন্তানদের ছন্দপতন।
ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো
তোমাদের পরিণত দৃশ্য দেখবার জন্য অযাচিত উৎসাহে দিনানিপাত করে চলি।
ক্ষোভ আমাদের কন্ঠেও ফোঁটে
শুধু অগ্নিশর্মা হবার সঠিক সময় আসেনি এখনো হিল্লোলের জোয়ারে।
হয়তো পিষ্ট হবার চাকায় এখনো কিছু পথ বাকি।
ভয়
ভয়ে কুঁকড়ে আসলো পৃথিবী
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল দেয়ালগুলো
চারদেয়ালের মধ্যে বাঁধা পড়া মানুষটা
চেয়ার টেবিল এমনকি বিছানা দিয়ে আটকে রাখতে চাইলো
বিশ্বাস, হয়তো বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে থমকে যাবে,
ভাঙতে থাকে আটকে রাখা ফার্নিচার
এমনকি বিছানাসহ বিশ্বাস
দেয়াল ধেয়ে আসে তার দিকে
বেরোবার জায়গা নেই
দরদর করে ঘাম চুঁইয়ে নামে কপাল বেয়ে চিবুকে
দিশেহারা মানুষটি আঁকড়ে ধরতে চায় একফোঁটা ভেন্টিলেটর
চতুর্দিকে দুই হাত দুরত্বের ব্যবধান
গন্ডিতে চলে আসে ভয়ের সাম্রাজ্য
হারিয়ে ফেলে দিক
দেয়ালে বুক পিঠ ঠেকে যায়
একসময় ধরফরিয়ে উঠে আবিস্কার করে
দুঃস্বপ্নের হাত ধরে আসা হাড় কাঁপানো মানসিক দুর্বলতা।
অবাস্তব,
দেয়াল এগিয়ে আসেনা
ভয়টাই নাড়া দিয়ে যায় সকল অস্তিত্ব।
মাটির নীচে বুজে যাওয়া কবরেও যে বাঁধা পড়ে শরীরি জগৎ,
সেতো অবাস্তব নয়,
নিরেট সত্য।
ও হে সুধীজন,
খুব দায়সারা করে কুশল বিনিময় করে চলেছো
হাত মেলানো আদব কায়দায় বড়ো অভ্যস্ত তোমরা
গালিচায় মোড়ানো পরিশিলিত সমাজ ব্যবস্থায়।
কাটাচামচের টুংটাং শব্দে, তোয়ালেতে হাত মুছেই
ছুকছুক করে তোমাদের পরস্ত্রীকাতর মানসিকতা।
ওয়ালেটে ক্রেডিট কার্ড, তারপরেও থরে থরে সাজানো
হাজার, শতটাকার নোটের মাঝেও লোভাতুর দৃষ্টি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা তোমার ডায়নিং টেবিলের অনবদ্য আলোচনা।
স্ত্রী-সন্তান উচ্ছন্নে যাক, তাতে কোন দ্বিধা নেই
নিজেকে জাহির করবার লোভ সামলানো বড্ড দায়।
গাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সিগনালে পথশিশু কিংবা বৃদ্ধরা যখন হাত বাড়ায়,
বড্ড বিরক্তি ভেসে ওঠে মুখোশপড়া ওই মুখগুলোতে।
পাশে কর্পোরেট ভূবনের বন্ধুদের কাছে বিব্রতবোধ করে ফেল
সমাজের এই পতনকারী গোষ্ঠীগুলোর আহাজারিতে।
ওরা অচ্ছুত, এসির ভেতর জমে থাকা কালচার গলে কাঁচ নামেনা সেসময়
খসে না ওই থরে থরে জমিয়ে রাখা একটিও নোট।
শুধু উত্তর একটাই “ওদের কর্মফল, তাই এরা রাস্তায়।”
স্বাধীনতা নিয়ে কপচানো তোমাদের বুলিগুলো বড্ড বেমানান ও হাস্যকর শোনায় তখন।
আরো হাস্যকর শোনায় পৃথিবীর কোন প্রান্তে ধ্বংস হতে থাকা সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে আহা উহু করা বিবৃতি।
বরং, কোমরে জড়িয়ে রাখা ওই সহজলভ্য মেয়েদের সাথে অনর্গল কথপোকথন
আর কাঁচের গেলাসে খয়েরী বর্ণের ওই তরল পানীয়তে
তোমাদের এতদিনের উচ্চস্থানে পৌছে যাওয়া অগ্রগতি ভীষণ আবেদনশীল করে তোলে।
আমি সাবলীল দর্শক, উপভোগ করি তোমাদের উপেক্ষা আর কর্পোরেট কালচার।
জমিয়ে নাও তোমাদের জুতো জোড়া এই উন্নত বিশ্বে,
একদিন তোমরাও দেখবে তোমাদের বখে যাওয়া সন্তানদের ছন্দপতন।
ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো
তোমাদের পরিণত দৃশ্য দেখবার জন্য অযাচিত উৎসাহে দিনানিপাত করে চলি।
ক্ষোভ আমাদের কন্ঠেও ফোঁটে
শুধু অগ্নিশর্মা হবার সঠিক সময় আসেনি এখনো হিল্লোলের জোয়ারে।
হয়তো পিষ্ট হবার চাকায় এখনো কিছু পথ বাকি।
ভয়
ভয়ে কুঁকড়ে আসলো পৃথিবী
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল দেয়ালগুলো
চারদেয়ালের মধ্যে বাঁধা পড়া মানুষটা
চেয়ার টেবিল এমনকি বিছানা দিয়ে আটকে রাখতে চাইলো
বিশ্বাস, হয়তো বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে থমকে যাবে,
ভাঙতে থাকে আটকে রাখা ফার্নিচার
এমনকি বিছানাসহ বিশ্বাস
দেয়াল ধেয়ে আসে তার দিকে
বেরোবার জায়গা নেই
দরদর করে ঘাম চুঁইয়ে নামে কপাল বেয়ে চিবুকে
দিশেহারা মানুষটি আঁকড়ে ধরতে চায় একফোঁটা ভেন্টিলেটর
চতুর্দিকে দুই হাত দুরত্বের ব্যবধান
গন্ডিতে চলে আসে ভয়ের সাম্রাজ্য
হারিয়ে ফেলে দিক
দেয়ালে বুক পিঠ ঠেকে যায়
একসময় ধরফরিয়ে উঠে আবিস্কার করে
দুঃস্বপ্নের হাত ধরে আসা হাড় কাঁপানো মানসিক দুর্বলতা।
অবাস্তব,
দেয়াল এগিয়ে আসেনা
ভয়টাই নাড়া দিয়ে যায় সকল অস্তিত্ব।
মাটির নীচে বুজে যাওয়া কবরেও যে বাঁধা পড়ে শরীরি জগৎ,
সেতো অবাস্তব নয়,
নিরেট সত্য।
Thanks Vipul for reading :)
উত্তরমুছুনভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
উত্তরমুছুন