শুধু কবিতার জন্য
কবিতার জন্য নষ্ট হতে পারে একটা জীবন
শুধু কবিতার কাছে, আত্মসমর্পণ।
অন্ধ শহরে বন্ধ বিকি-কিনি
জাহাজ থামে না হাতে হাত-কড়া
শুধু কবিতার কাছে দাসত্ব মেনে নিতে পারি।
কবিতা সাদা-কালো কবিতা চোখে ঘোর
কবিতা মুখোমুখি কবিতা বুকে জোর।
শুধু কবিতা ভেবে আমি কালো দেখে যেতে পারি।
কবিতা ভাতে থাবা কবিতা প্রতিবাদ
কবিতা স্বেচ্ছাচারীর-- স্পর্ধা ধূলিসাৎ
কবিতার জন্যে কত শতবার রক্ত ঝরাতে পারি।
কবিতা বুকে দোল কবিতা ফাল্গুন
কল্কে ফুলে রঙ কবিতা গুন গুন
শুধু কবিতার জন্যে চির প্রেমিক থেকে যেতে পারি।
কবিতা ছাদে ফুটো ঝলসে যাওয়া রুটি
কবিতা বুকে নিয়ে রেশন লাইনে ছুটি
কবিতা দেওয়ালে লিখন কবিতা ভাঙন
কবিতা ফুটপাতে সফল অনসন।
শুধু কবিতার জন্যে বিপ্লব যুঝে যেতে পারি।
কবিতা একা একা কবিতা চার্বাক
স্বর্গ নরকের ফারাক মুছে যাক।
কবিতা চোখে চোখ কবিতা অসময়
কবিতা মনে মনে মিষ্টি প্রনয়।
কবিতা গণ-গান কবিতা বুকে ঝড়
কবিতা মরে না কবিতা শাপে বর।
শুধু কবিতার জন্যে অমরত্ব প্রত্যাখান করতে পারি।
নঞর্থক
দিনগুলো কাটে অসংখ্য নঞর্থককে হারিয়ে দিতে রোজ।
দিন ফোটবার আগে তারা আসে আর রাতকে আরো প্রলম্বিত করে।
যখন অস্থির হাত দেওয়াল ফুঁড়ে আলোর ঠিকানা চায়,
চিতার থাবায় অন্ধকার ধরা পড়ে একমুঠো।
সরীসৃপের মত বুক টেনে চলি সুড়ঙ্গ। জীবন বড় আঁটোসাটো।
তবু একটু আলোর উস্কানিতে হাত বাড়াই।
সদর্থক সব কিছুকে বদলে দেবে বলে
সব ‘না’-এরা পোষাক বদল করে
গা ঘেঁষে বসে আর আমায় সহ্য করতে বলে।
জানলা খুলি
দেওয়াল পেড়িয়ে দেওয়াল।
শ্রম বিলায় খোলামকুচির মত।
আদর্শ সব খড়কুটো
পাখির ঠোঁটে কবেই দেশান্তরী।
আমার জানলার পাল্লা অন্যের পাল্লায় ধাক্কা মারে।
সব নঞর্থককে হারিয়ে দিতে দিতে
ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
কাগজে-কলমে, ঝুড়ি ঝুড়ি কবিতায়
গানে, পলায়নে স্থাণু বিষাদ কাটে না।
নৈঃশব্দ বা কোলাহল দুটোই সমান বিপর্যস্ত করে একটানা।
এরচাইতে অশান্তিও ছিল ভালো।
এমন লড়াই নেই যাতে জীবন সঁপা যায়
এমন চাহিদা নেই যে ঝলসে উঠি রোজ
এমন রোমাঞ্চ নেই যে মৃত্যু সার্থক করে তোলে।
“প্রেরণা জাগানো প্রেম”?? নাঃ তাও নেই।
যখন শুধু সঙ্গ চায় মন
কি বা এসে যায় বসন্ত এসেছে কিনা তাতে...??
কবিতার জন্য নষ্ট হতে পারে একটা জীবন
শুধু কবিতার কাছে, আত্মসমর্পণ।
অন্ধ শহরে বন্ধ বিকি-কিনি
জাহাজ থামে না হাতে হাত-কড়া
শুধু কবিতার কাছে দাসত্ব মেনে নিতে পারি।
কবিতা সাদা-কালো কবিতা চোখে ঘোর
কবিতা মুখোমুখি কবিতা বুকে জোর।
শুধু কবিতা ভেবে আমি কালো দেখে যেতে পারি।
কবিতা ভাতে থাবা কবিতা প্রতিবাদ
কবিতা স্বেচ্ছাচারীর-- স্পর্ধা ধূলিসাৎ
কবিতার জন্যে কত শতবার রক্ত ঝরাতে পারি।
কবিতা বুকে দোল কবিতা ফাল্গুন
কল্কে ফুলে রঙ কবিতা গুন গুন
শুধু কবিতার জন্যে চির প্রেমিক থেকে যেতে পারি।
কবিতা ছাদে ফুটো ঝলসে যাওয়া রুটি
কবিতা বুকে নিয়ে রেশন লাইনে ছুটি
কবিতা দেওয়ালে লিখন কবিতা ভাঙন
কবিতা ফুটপাতে সফল অনসন।
শুধু কবিতার জন্যে বিপ্লব যুঝে যেতে পারি।
কবিতা একা একা কবিতা চার্বাক
স্বর্গ নরকের ফারাক মুছে যাক।
কবিতা চোখে চোখ কবিতা অসময়
কবিতা মনে মনে মিষ্টি প্রনয়।
কবিতা গণ-গান কবিতা বুকে ঝড়
কবিতা মরে না কবিতা শাপে বর।
শুধু কবিতার জন্যে অমরত্ব প্রত্যাখান করতে পারি।
নঞর্থক
দিনগুলো কাটে অসংখ্য নঞর্থককে হারিয়ে দিতে রোজ।
দিন ফোটবার আগে তারা আসে আর রাতকে আরো প্রলম্বিত করে।
যখন অস্থির হাত দেওয়াল ফুঁড়ে আলোর ঠিকানা চায়,
চিতার থাবায় অন্ধকার ধরা পড়ে একমুঠো।
সরীসৃপের মত বুক টেনে চলি সুড়ঙ্গ। জীবন বড় আঁটোসাটো।
তবু একটু আলোর উস্কানিতে হাত বাড়াই।
সদর্থক সব কিছুকে বদলে দেবে বলে
সব ‘না’-এরা পোষাক বদল করে
গা ঘেঁষে বসে আর আমায় সহ্য করতে বলে।
জানলা খুলি
দেওয়াল পেড়িয়ে দেওয়াল।
শ্রম বিলায় খোলামকুচির মত।
আদর্শ সব খড়কুটো
পাখির ঠোঁটে কবেই দেশান্তরী।
আমার জানলার পাল্লা অন্যের পাল্লায় ধাক্কা মারে।
সব নঞর্থককে হারিয়ে দিতে দিতে
ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
কাগজে-কলমে, ঝুড়ি ঝুড়ি কবিতায়
গানে, পলায়নে স্থাণু বিষাদ কাটে না।
নৈঃশব্দ বা কোলাহল দুটোই সমান বিপর্যস্ত করে একটানা।
এরচাইতে অশান্তিও ছিল ভালো।
এমন লড়াই নেই যাতে জীবন সঁপা যায়
এমন চাহিদা নেই যে ঝলসে উঠি রোজ
এমন রোমাঞ্চ নেই যে মৃত্যু সার্থক করে তোলে।
“প্রেরণা জাগানো প্রেম”?? নাঃ তাও নেই।
যখন শুধু সঙ্গ চায় মন
কি বা এসে যায় বসন্ত এসেছে কিনা তাতে...??
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন