অভিরুপকে
মুক্তাবিষ্ট ঝিনুক দেখেছ ?
বাইরেটা দেখে কেউ জানতেও পারবে না
কি গভীর রক্তাক্ত ক্ষত বয়ে নিয়ে চলেছে
তার ভিতরে ভিতরে!
নিজেকে আজকাল বড়ো বেশি
ঝিনুকের মত মনে হয় অভিরুপ।
বাইরে বাইরে কঠিন,
ভিতরে নরম ক্ষতবিক্ষত আমি।
তোমার সোনালী মুক্তার মত স্মৃতি
আমার রক্তাক্ত ক্ষত গুলোকে
এমন আষ্টেপৃষ্টে চেপে বসে থাকে
আমি এড়াতেও পারিনা,বইতেও পারিনা।
সুখের স্মৃতিগুলো যে এত যন্ত্রণা দিতে পারে
এতটা অসহায় করে তুলতে পারে,
তোমাকে হারাবার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি আমি।
তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি,
সর্বনাশ যা ঘটবার সেদিনই ঘটে গেছিল।
ভেজা সাগরের পারে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত
আমাকে বলেছিলে,
"কষ্ট পেতে নেই মেয়ে।
যাকে ভেবে তোমার এত কষ্ট,
জেনে দেখো সেও সুখে নেই।"
তোমার মনে আছে নিশ্চই
সেদিন বাবাকে দাহ করে ফিরছিলাম?
সুদর্শন, তুমি ছিলে সেদিন আমার-
সব থেকে বড়ো আশ্রয়।
সেই প্রথম আমার ভালবাসতে শেখা।
যে নেই তাকে মেনে নেওয়া যায়।
যে আছে, যাকে দেখবার সম্ভবনা-
প্রত্যেক দিন প্রবল থেকে আরও প্রবল,
আরও গাঢ় হয়ে ওঠে তাকে?
সব কিছু কি ভুলে যাওয়া যায় অভিরুপ?
জীবনে অতগুলো দিনরাত আমি গুনিনি
প্রজাপতি সময় ছিঁড়ে যতগুলো মুহূর্ত-
গুনে চলেছি তোমার ফিরে আসার।
যে দোষে দোষী করে আমাকে
সমুদ্র যাপনে রেখে গেলে,
সে দোষ আমার মত-
সাধারণ মেয়েকেই মানায় অভিরুপ।
ভালবাসার একটি দিনও যদি দিয়ে থাকি
আমার আঁচলের রোদটুকু ফুরোবার আগে
ফিরে এসো।
এত বড়ো জীবনের ভার!
আমি একা একা পারবো না অভিরুপ।
ফিরে এসো।
প্রথম দেখা
কার পরাণে নূপুর বাজাস
কার পরাণে আদর মাখিস
ভর দুপুরে ?
আমার মনে উতাল দিঘী
আকাশ ভরা দুই নয়নে।
কার উঠোনে গাগরী রাখিস?
সাঁতার শিখিস?
এই মেয়ে তুই আমার হবি?
ময়ূর মেঘের পেখম নিবি?
আমার হৃদয় পলাশ পুকুর
কাটবি সাঁতার এপার ওপার
এই দুপুরে?
এই মেয়ে তুই গয়না নিবি?
শান্তিপুরি তাতের শাড়ি?
আমার হৃদয় সর্ষেফুলি -
সোনার খনি?
নাম বলে যা,
কোথায় থাকিস?
আদুল পায়ে ছন্দ লিখিস,
কোন ঠিকানা ?
শঙ্খ দানে আয়না দেব।
সিঁদুর দানে গয়না দেব।
আফিম দানা পোস্ত কুঁড়ি -
সিফন শাড়ি,
বল না আমায় তোদের বাড়ি।
মুক্তাবিষ্ট ঝিনুক দেখেছ ?
বাইরেটা দেখে কেউ জানতেও পারবে না
কি গভীর রক্তাক্ত ক্ষত বয়ে নিয়ে চলেছে
তার ভিতরে ভিতরে!
নিজেকে আজকাল বড়ো বেশি
ঝিনুকের মত মনে হয় অভিরুপ।
বাইরে বাইরে কঠিন,
ভিতরে নরম ক্ষতবিক্ষত আমি।
তোমার সোনালী মুক্তার মত স্মৃতি
আমার রক্তাক্ত ক্ষত গুলোকে
এমন আষ্টেপৃষ্টে চেপে বসে থাকে
আমি এড়াতেও পারিনা,বইতেও পারিনা।
সুখের স্মৃতিগুলো যে এত যন্ত্রণা দিতে পারে
এতটা অসহায় করে তুলতে পারে,
তোমাকে হারাবার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি আমি।
তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি,
সর্বনাশ যা ঘটবার সেদিনই ঘটে গেছিল।
ভেজা সাগরের পারে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত
আমাকে বলেছিলে,
"কষ্ট পেতে নেই মেয়ে।
যাকে ভেবে তোমার এত কষ্ট,
জেনে দেখো সেও সুখে নেই।"
তোমার মনে আছে নিশ্চই
সেদিন বাবাকে দাহ করে ফিরছিলাম?
সুদর্শন, তুমি ছিলে সেদিন আমার-
সব থেকে বড়ো আশ্রয়।
সেই প্রথম আমার ভালবাসতে শেখা।
যে নেই তাকে মেনে নেওয়া যায়।
যে আছে, যাকে দেখবার সম্ভবনা-
প্রত্যেক দিন প্রবল থেকে আরও প্রবল,
আরও গাঢ় হয়ে ওঠে তাকে?
সব কিছু কি ভুলে যাওয়া যায় অভিরুপ?
জীবনে অতগুলো দিনরাত আমি গুনিনি
প্রজাপতি সময় ছিঁড়ে যতগুলো মুহূর্ত-
গুনে চলেছি তোমার ফিরে আসার।
যে দোষে দোষী করে আমাকে
সমুদ্র যাপনে রেখে গেলে,
সে দোষ আমার মত-
সাধারণ মেয়েকেই মানায় অভিরুপ।
ভালবাসার একটি দিনও যদি দিয়ে থাকি
আমার আঁচলের রোদটুকু ফুরোবার আগে
ফিরে এসো।
এত বড়ো জীবনের ভার!
আমি একা একা পারবো না অভিরুপ।
ফিরে এসো।
প্রথম দেখা
কার পরাণে নূপুর বাজাস
কার পরাণে আদর মাখিস
ভর দুপুরে ?
আমার মনে উতাল দিঘী
আকাশ ভরা দুই নয়নে।
কার উঠোনে গাগরী রাখিস?
সাঁতার শিখিস?
এই মেয়ে তুই আমার হবি?
ময়ূর মেঘের পেখম নিবি?
আমার হৃদয় পলাশ পুকুর
কাটবি সাঁতার এপার ওপার
এই দুপুরে?
এই মেয়ে তুই গয়না নিবি?
শান্তিপুরি তাতের শাড়ি?
আমার হৃদয় সর্ষেফুলি -
সোনার খনি?
নাম বলে যা,
কোথায় থাকিস?
আদুল পায়ে ছন্দ লিখিস,
কোন ঠিকানা ?
শঙ্খ দানে আয়না দেব।
সিঁদুর দানে গয়না দেব।
আফিম দানা পোস্ত কুঁড়ি -
সিফন শাড়ি,
বল না আমায় তোদের বাড়ি।
রুদ্র গোস্বামীর কবিতা যতোবার পড়ি, মন ভরেনা।
উত্তরমুছুন