তুমি না রাখলেও, কেউ কথা রাখবেই, সুনীলবাবু
উষালগ্নে জেগে উঠি আমি, আমার শরীর,
সুবর্ণরেখায় পাড়ভাঙ্গা পদ্মাসনে,
দিদিমার ভস্মকলস, নাকি বরুণার?
চোখ বুজে ছুঁয়ে থাকি নেবানো চুল্লী, ধীরস্রোতা রুপসার ধারা,
বেতলার জঙ্গলে পিছু পিছু হাঁটি, শ্বাসরোধী কৈশোর
অমলতাসের ঘোরে চুপ---
শুধু পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা প্রতিশ্রুতিময়,
এখনও অক্ষরের জন্ম হয়নি, কুমারির মতো, নাদেরের মতো।
ইসমাইলদাদু তখনও নিয়ে আসতেন নারকেল, চাল আর ঘি,
খুব ভোরের বেলায় ভ্যান-এ চাপিয়ে তিনি ঢুকতেন আমাদের বাড়ি, সঙ্গে থাকতো সানাই--
আমাদের ঘরের পিছনের জানলার পাশে যে নারকেলগাছ,
তার মাথার উপর দিয়ে কমলা আভা ঘরে ঢুকত,
দাদু ইসমাইলদাদুকে জড়িয়ে ধরতেন,
ইসমাইলদাদু সানাই বের করে ধরতেন আজানের সুর, আর দাদু,
তালে তাল মিলিয়ে সূর্যমন্ত্র,'ওঁ, জবাকুসুম সঙ্কার্ষনং, কাশ্যপিয়ং মহাদ্যুতিং...'
সুনীলবাবু, কোথায় যেন তোমার পূর্ব-পশ্চিম এক হয়ে যেত।
মনে পড়ে,
ইস্কুল থেকে ফেরার পথে, সুরকী পথের দুধারে, কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার গল্প,
তিনবার বাঁক ঘুরে শেষবাঁকের কিনারে রাধাচূড়ার কথা--
কি হলুদ ফুল তার!!
তার নীচে দাঁড়িয়ে
আমি যেই বলেছি, 'পাগলা পাগলা...'
অমনি ট্রেনের ভেঁপু বেজে উঠেছে--আর কি ছুট ছুট---
দিকশূণ্যপুর এসে গেলো বুঝি...নামতেই হবে এবার......
সারাজীবন নীলুদা তোমার সাথে যেতে চেয়েছি ,
কখনও তুমি কথা রাখোনি, কেবলই ফাঁকি দিয়েছো,
আর দৌড়ে চলে গেছো নীরার কাছে,
যত ফস্টিনষ্টি--শুধু স্বপ্নের কথা,
যেন, আমরা কেউ স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন দেখতে জানিনা,
যেন নীরা তোমার একার,
যেন ঠোঁটে আঙ্গুল ছোঁয়াতে একা তুমিই জানো,
আজ দেখো , তোমার সাথে আমিও বিষপান করি,
শোক কুলকুচো করি, বিশুদ্ধ স্তাবকতা দিয়ে দাঁত ব্রাশ,
দক্ষিণ-শহর জুড়ে ভুবনডাঙ্গা ফেটে ফেটে পড়ে,
পাহাড়-চূড়ায় দাঁড়িয়ে
পদতলে রাখি সমূহ পৃথিবী,
আর তারস্বরে ঘোষণা করি--
সম্রটের কনিষ্ঠপুত্র, তুমি হে সুনীল-সুবাস--
কতদূর যাবে তুমি, পালাবে কোথায়?
যতই বলোনা কেন,
ও আকাশে ও মাথা আর ঠেকতেই দেবো না,
তোমার বিনাশ নেই...আগুনের মতো
বুকের ভিতর ধক ধক জ্বলে,
সেই-সময়...এই সময়;
কেউ একজন কথা রাখে ঠিক, আমি জানি,
কেউ একজন--
একেবারে শুরুর দিকে, বলে গিয়েছিল,
আসবই ফিরে,
অপেক্ষায় থেকো।
মন যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল,
বৃষ্টি আসেনি,
শঙ্খধ্বনি দিয়ে কান্না এসেছিল,দুই চোখে...
আমি কি যুবক হবো?
যৌবন? আমি কি তোমায় চিনি, শরীরে-শরীরি...
তবু তুমি কথা রাখলেনা, সময়ের সাথে ভেসে চলে গেলে
দুঃখ ও সুখের দিনে, স্মৃতিসঙ্গিনী...
তবু,
তবু আমি জানি,
কেউ একজন কথা রাখবেই...
হে মৃত্যু, সে তুমি, শুধু তুমি।
উষালগ্নে জেগে উঠি আমি, আমার শরীর,
সুবর্ণরেখায় পাড়ভাঙ্গা পদ্মাসনে,
দিদিমার ভস্মকলস, নাকি বরুণার?
চোখ বুজে ছুঁয়ে থাকি নেবানো চুল্লী, ধীরস্রোতা রুপসার ধারা,
বেতলার জঙ্গলে পিছু পিছু হাঁটি, শ্বাসরোধী কৈশোর
অমলতাসের ঘোরে চুপ---
শুধু পড়ে থাকে সাদা পৃষ্ঠা প্রতিশ্রুতিময়,
এখনও অক্ষরের জন্ম হয়নি, কুমারির মতো, নাদেরের মতো।
ইসমাইলদাদু তখনও নিয়ে আসতেন নারকেল, চাল আর ঘি,
খুব ভোরের বেলায় ভ্যান-এ চাপিয়ে তিনি ঢুকতেন আমাদের বাড়ি, সঙ্গে থাকতো সানাই--
আমাদের ঘরের পিছনের জানলার পাশে যে নারকেলগাছ,
তার মাথার উপর দিয়ে কমলা আভা ঘরে ঢুকত,
দাদু ইসমাইলদাদুকে জড়িয়ে ধরতেন,
ইসমাইলদাদু সানাই বের করে ধরতেন আজানের সুর, আর দাদু,
তালে তাল মিলিয়ে সূর্যমন্ত্র,'ওঁ, জবাকুসুম সঙ্কার্ষনং, কাশ্যপিয়ং মহাদ্যুতিং...'
সুনীলবাবু, কোথায় যেন তোমার পূর্ব-পশ্চিম এক হয়ে যেত।
মনে পড়ে,
ইস্কুল থেকে ফেরার পথে, সুরকী পথের দুধারে, কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার গল্প,
তিনবার বাঁক ঘুরে শেষবাঁকের কিনারে রাধাচূড়ার কথা--
কি হলুদ ফুল তার!!
তার নীচে দাঁড়িয়ে
আমি যেই বলেছি, 'পাগলা পাগলা...'
অমনি ট্রেনের ভেঁপু বেজে উঠেছে--আর কি ছুট ছুট---
দিকশূণ্যপুর এসে গেলো বুঝি...নামতেই হবে এবার......
সারাজীবন নীলুদা তোমার সাথে যেতে চেয়েছি ,
কখনও তুমি কথা রাখোনি, কেবলই ফাঁকি দিয়েছো,
আর দৌড়ে চলে গেছো নীরার কাছে,
যত ফস্টিনষ্টি--শুধু স্বপ্নের কথা,
যেন, আমরা কেউ স্বপ্ন দেখিনা, স্বপ্ন দেখতে জানিনা,
যেন নীরা তোমার একার,
যেন ঠোঁটে আঙ্গুল ছোঁয়াতে একা তুমিই জানো,
আজ দেখো , তোমার সাথে আমিও বিষপান করি,
শোক কুলকুচো করি, বিশুদ্ধ স্তাবকতা দিয়ে দাঁত ব্রাশ,
দক্ষিণ-শহর জুড়ে ভুবনডাঙ্গা ফেটে ফেটে পড়ে,
পাহাড়-চূড়ায় দাঁড়িয়ে
পদতলে রাখি সমূহ পৃথিবী,
আর তারস্বরে ঘোষণা করি--
সম্রটের কনিষ্ঠপুত্র, তুমি হে সুনীল-সুবাস--
কতদূর যাবে তুমি, পালাবে কোথায়?
যতই বলোনা কেন,
ও আকাশে ও মাথা আর ঠেকতেই দেবো না,
তোমার বিনাশ নেই...আগুনের মতো
বুকের ভিতর ধক ধক জ্বলে,
সেই-সময়...এই সময়;
কেউ একজন কথা রাখে ঠিক, আমি জানি,
কেউ একজন--
একেবারে শুরুর দিকে, বলে গিয়েছিল,
আসবই ফিরে,
অপেক্ষায় থেকো।
মন যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল,
বৃষ্টি আসেনি,
শঙ্খধ্বনি দিয়ে কান্না এসেছিল,দুই চোখে...
আমি কি যুবক হবো?
যৌবন? আমি কি তোমায় চিনি, শরীরে-শরীরি...
তবু তুমি কথা রাখলেনা, সময়ের সাথে ভেসে চলে গেলে
দুঃখ ও সুখের দিনে, স্মৃতিসঙ্গিনী...
তবু,
তবু আমি জানি,
কেউ একজন কথা রাখবেই...
হে মৃত্যু, সে তুমি, শুধু তুমি।
Apurbo
উত্তরমুছুনApurbo
উত্তরমুছুন