সৌকর্য গ্রুপের একমাত্র ওয়েবজিন।

About the Template

মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১২

রোহণ ভট্টাচার্য

যে সব গল্পে তখনও ভোকাট্টা আসেনি


স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে কৃত্রিমতার একটা অদ্ভূত সম্পর্ক আছে । যে সম্পর্কটা আসলে একটা ঘুড়ির গল্প । যেসব গল্পের ঘুড়িরা লাটাই থেকে সুতো টানতে টানতে অনেকদূর চলে যায় । তারপর যথারীতি ঐ লাটাইটা দেখা যায়, ঘুড়িকেও দিব্যি দেখতে পাওয়া যায় ; শুধু মাঝের সুতোটা কিছুদূর যাওয়ার পর কোথায় যে মিলিয়ে যায়…


এই যেমন একটা কৃ্ত্রিম ফ্লাইওভার যার ওপর দিয়ে অনবরত চলে যাচ্ছে গোল গোল কালো রঙের চাকা । ছোটো বড় বা মঝারি , এরকম আকারগত পার্থক্য বাদ দিলে চাকারা মাত্র দু’রকম । এক, যারা চলে যাওয়ার পর কোনো দাগ থাকে না ; দুই, যারা চলে যাওয়ার পরেও…

অথচ ঐ ব্রীজটাকে ছুঁয়ে যেটুকু বাতাস আছড়ে পড়ছে এদিক সেদিক কিংবা চারপাশ থেকে যেটুকু শূণ্যতা ঘিরে ধরছে ইট-সিমেন্টের শরীরটাকে ; সেইসব দেখতে দেখতে মনে পড়ে যাচ্ছে এই ব্রীজটা তৈরীর আগে একটা ঘুড়ি ওরানো হয়েছিল শুধু এয়ার ভলিউমটুকু মাপার জন্য । ব্রীজ তৈরীর ক্ষেত্রে যেটা খুবই স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানমনষ্ক ঘটনা । তবু ঘটনাটা আশ্চর্যজনক এইজন্যই যে বাতাসের চলাফেরার ওপর কিন্তু মানুষের কোনো হাত নেই । অথচ হাতেই তৈরী ঘুড়িটার আকাশে স্বতঃস্ফূর্ত খেলে বেড়ানোর কারণ কিনা একটা ইচ্ছে । খানিকটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে সেখানে সেতু বানাবার ইচ্ছে । অনেকটা একটা অসীম শূন্যতা পাওয়ার পর তাকে ভরাট করতে চাওয়ার মতো । যেভাবে আমাদের ঘুড়ি ও লাটাইয়ের গল্পে মধ্যবর্তী হঠাৎ মিলিয়ে যাওয়া সুতোটি ঝুলে আছে এক অনন্ত খালিতে ।।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন