সৌকর্য গ্রুপের একমাত্র ওয়েবজিন।

About the Template

সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

ছোটগল্প - মৌ দাশগুপ্তা

আকাশ-কুসুম-কল্পনা
মৌ দাশগুপ্তা



আকাশরঞ্জন, কুসুমবিহারী আর কল্পনা, তিনজনে বড় ভাব। তিনজন সহপাঠী/ ও সহপাঠিনী। কল্পনারা বেশ বড়লোক। অতএব বাপের টাকার নিক্তিতে ওর রূপ মাপা যায়। আহা, কালী ঠাকুর-টাকুর অবধি নাই বা গেলাম, জনশ্রুতি যে, সে মহাভারতের দ্রৌপদীও তো কালোই ছিল বা ঐ চিতোরের রানী পদ্মিনী। কথাতে আছে না “কালো জগতের আলো”। আর নিন্দুকেরা চেহারাটা মোটাসোটা ,ট্যাবাটোবা বলে বটে তবে হিংসা করে। অবস্থাপন্ন ঘরের আদুরে মেয়ে, তার ঐ ইয়ে মানে সুখী সুখী গোলগাল ফিগার হবে না ?

কল্পনাকে নিয়ে আকাশ কবিতা লেখে, শুনে কল্পনা মুচকি হাসে। আকাশের মনের আকাশে রামধনু ওঠে। কুসুম ভুজিওয়ালার দোকান থেকে গাঁটের পয়সা খরচা করে হরেক কিসিমের আচার,মোরব্বা কিনে এনে কল্পনাকে দিয়ে বলে

- ‘মায়ের হাতের বানানো ‘।

কল্পনা টাগরায় আওয়াজ তুলে, আরামে খায়। কুসুম তাই স্বপ্ন দেখে।অর্থাৎ কিনা আকাশ-কুসুম কল্পনায় বুঁদ হয়ে থাকে। ফলে বন্ধুত্বে ভাঁটা পড়ে।

দুজনেই ভাবে, কে আগে কল্পনাকে মনের গোপনে লালিত ইচ্ছার কথাটা বলবে, কিভাবে বলবে

- ‘তোকে ভীষণ ভালোবাসি রে কল্পনা, দিব্যি করে বলছি । ‘

সেদিন ভ্যালেনটাইন্স ডে, পৃথিবীর তাবত প্রেমিককূলের ভালো বাসাবাসির দিন। ক্যালেন্ডারে শুভ মধুমাস। আকাশ-কুসুম-এর আগে কল্পনাই ওর কাঁধের ঢাউস ব্যাগটা থেকে দু’টো কার্ড বার করে এগিয়ে ধরে মুখে সলাজ হাসি মাখিয়ে বললো,

- ‘আগামী ২৭শে ফাল্গুন আমার বিয়ে, আসবি কিন্তু! ‘


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন