সৌকর্য গ্রুপের একমাত্র ওয়েবজিন।

About the Template

সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

গুচ্ছ কবিতা - সূর্যস্নাত বসু

গুচ্ছ কবিতা
সূর্যস্নাত বসু

 

কন্যাকুমারিকা


কুমারিকার দেওয়ানা ঠাঠা রোদে পুড়ে গেছে ;
সে রোদ ঠুকরানোর দায় নেই নির্ভেজাল রাতের নয়নতারার ।
'সম্ভবপর হয়েছি' --- বলেছে তখনই , যখন পর্দা ফেটেছে ।
কিংবা চোখের কোণে অঙ্গারের কিছু রূপভেদ আবিষ্কৃত হয়েছে ।
জন্মের সে দাগ ; ভুল বুঝোনা । ও যে কপালের চার আঙ্গুলে
ঠাঁই পেয়েছে বঙ্গেশ্বরের মুখে -'সুখে' ।
দেদার নেগেটিভিটির নির্ভাবনাময় বিহান যেন ছুটে চলেছে
রঙ্গিলা কিছু শব্দে --- কৌমার্যহরণের ।
(কখনও বা শীত্‍কারে শিলীভূত ) ।
#
বুকের ভেতরকার পিচ্ছিল নুড়িগুলো নীচে নামছে
অ্যাড্রিনালিন্ ক্ষরণের আশায় । সমুদ্ভব হয়ত একটাই ;
আর সেটা হল বাঁচতে না দেওয়া ।
#
এ বাঁচা সে বাঁচা নয় পথিক ; এ যে মৃত্যু- মর্দনও নয় ।
পত্রাঙ্ক খুঁজে পাওয়া বিরল ,শুধু তাই নয়;
চোখরাঙানো-ও একটা ম্যাটার ডোমেস্টিক কোলাহলে ।
এই বরদাস্তের বমাল যদি ধরা না পড়ে ; তবে সে কন্যা
কুমারিকা থাকবে না আর ।
#
বিসৃষ্ট হয়ে যাবে তার পরণের শেষ লজ্জাবস্ত্রটিও ।


আকাশের বাহারি পোষাকে এখনও আফিমের গন্ধ
ছুটে আসছে তীব্র বেগে । চোখ - কান- নাক - পাকস্থলী
ভেদ করে সে পৌঁছে যাবে যোনিদেশে ।
ন্যায্য প্রতিপন্ন করিনি এই আহ্বান । এ যেন
পেরিয়ে যাবার পরও থেকে যাওয়া ।
জমাট রক্তের ডেলা থেকে কিছু আকাঙ্ক্ষার ফেনার
স্বাধীনতা উদযাপন ।
#
ওগো সতী ; আমায় আলিঙ্গন করো
--- এ যে মন্ত্রপড়া রেপিস্টের বিজয় -পরব ।


মেকি তরলস্রোতে লাভ-লেটার লিখতে গিয়ে
বারবার নিজেকে জংলি ভেবেছে কুমারী । পুরুষ তাড়াবার
ধূপকে পরপতি ভেবে বালিশের নীচে রেখেছে ।
বালিশের উপজাতিকে ভেবেছে দেহ- কাঙাল । হাতঘড়িটাকে
গিলে ফেলে এলিয়ে দিয়েছে বিক্ষিপ্ত শরীর
ওই গোলাপি কম্বলের ভেতরে ।
#
কিছু সময় পরেই
ধূপ শেষ হবে । প্রলেতারিয়েত কম্বল হয়ে উঠবে লাল ।


সামনে 'রঙীন' ট্যাক্সি ছুটে আসছে । হাত দেখালেই
থেমে যাবে । কিন্তু ছুটবে নৃশংসতার ন্যাওটা , ছুটবে দেহ,
সুরিয়ালিজম্ , গুরু-চণ্ডাল , কালকেউটে আর ফাগুনমাস ।
গতানুগতিক সাফ করে দেওয়া মানেই শূন্যস্থান সৃষ্টি ;
- এ সৃষ্টিও স্রষ্টাকে ধ্বংস করে । উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেও
নিম্নাকর্ষণ জহুরি । জায়গির দিয়েছে সে জাতকে ; আর
জমানত জাতিকে । নিষ্প্রাণ চেতনার বজ্জাত ঘড়িগুলো
গলে পড়ছে - ঠোঁট থেকে আরেক ঠোঁটের যোজনে ।


বেথোভেনের রিলাকসেশন সিমফোনি শোনেনি সে ।
নিজের পাঁজরকে পিয়ানো ভেবে ভুল করেছে বারবার ।
অলক্ষ্মীর সময়-স্রোতে কালান্তর রথকে থামিয়ে দিচ্ছে
কালচে পৌরুষ । হস্তরেখায় কামনার খিস্তি চিরাচরিত
'হোমারিক লাফটারে' ।
বুদ্ধের হাসিতে জীবাণুদের অক্ষয়মন্ত্র --- "ও কুমারী ;
তোমায় আমি ধর'ব না ; তোমার শিশমহলে
ভারিভুরি পারদার্য করব নিষ্কম্প বিছানার আবদারে ।"
#
(শরীর এলিয়ে দিও – নিষিক্ত পরলোকে )

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন