পাঁচটি কবিতা
কৃষি কবিতা
চাঁদ জাগা রাতে
খুলে ফেলো সব পোষাক।
আলোকিত ক্ষেত হয়ে ওঠো শুধু।
সমস্ত সুপ্তি ঝেড়ে ফনা তোলা বাঘ হয়ে যাবো আমি।
চেতনার হাল শক্ত মুঠিতে ধরে
চষে যাবো অবিরাম।
অবিরাম আদরের সার
ছড়িয়ে যাবো সমস্ত ক্ষেত জুড়ে।
একদিন, এইসব কৃষিকাজ শেষে
যখন তৃষ্ণার মতো,
বীজ হয়ে ঝরে যাবো শরীরে,মননে,
তুমি কোন একধানক্ষেত-কবিতা হয়ে
ভেসে যেও সমস্ত দুনিয়ার আকাশে।
রাতের কবিতা
শরীরময় আকাশের রূপ নিয়ে
কবিতার রাত আসে ঘরে।
নগ্ন-অবোধ শিশুর মতো
অবাক কৌতুহল জুড়ে,
শিরোনাম ছুঁয়ে দেখেছি।
তীব্র আবেগে কবিতার আকাশ জুড়ে
খুঁজেছি অপূর্ব ধ্রুবতারা।
অনন্ত সময়ের শেষে যখন
অবসন্ন ঘুমিয়েছি শিশিরের বিছানায়,
তুমি দুহাত ভরে ছিটিয়েছ
নক্ষত্রের ছন্দময় সব আলো।
প্রেমে প্রেমে ভোর হয়ে গেছে
সমস্ত রাতের কবিতা।
কবি
এক লক্ষ 'সত্যম,শিবম,সুন্দরম' পেরনোর পরেও,
দেখো এখনো হৃদয়ে রক্তের বৃষ্টিপাত।
চোখ টলটলে দীঘি।
তাই খুব গোপনে একদিন
কান্না আর রক্তের ঋণ আমি শোধ করে যাবো।
সময়ের কাছে গচ্ছিত রেখে যাবো এক নিস্তব্ধ অগ্ন্যূৎপাত।
ব্যাভিচার ও আমি
শরীরের কবিতাকে শাবলের গুঁতোয় ক্রমাগত চুরমার করে
কবিতার শরীরকে ছুরিকাহত করে চলেছি।
এখনো ঠিক জানি না,
ব্যাভিচার কাকে বলে?
নিষ্ঠুরতম স্নেহে,যতনে পরাচ্ছি
কবিতার শরীরে, শরীরের কবিতার জামা।
সন্দেহ থেকে যায় তবু ব্যাভিচারের সংজ্ঞায়।
ব্যাবহারিক জীবনযাত্রায়,
শুধুমাত্র রাত্রেই দরজা ঠেলে ঢোকে
কবিতা আর শরীর।
রাত হেঁটে হেঁটে যায় গভীর রাতের দিকে,
ভোর হয়।দিন। রাত্রির প্রতীক্ষা।
আয়ত্তে আসছে না তবু ব্যাভিচার।
তোমাকে
জানি লিখব দেশলাই কাঠি ,
জ্বলবে আগুন।
ধক-ধক কান্না লেপে দেওয়া শব্দের গায়ে
লিখব বিপ্লব গোনা প্রহর।
জুবুথুবু পড়ে থাকা শিকড়ে
জুড়ে দেব দিগন্ত উরানের ডানা।
তবু যদি বল কবিতার নাম হবে ভালবাসা,
কান্নার আগুন পেরিয়ে একদিন সব শব্দরা বেঁচে যাবে।
কৃষি কবিতা
চাঁদ জাগা রাতে
খুলে ফেলো সব পোষাক।
আলোকিত ক্ষেত হয়ে ওঠো শুধু।
সমস্ত সুপ্তি ঝেড়ে ফনা তোলা বাঘ হয়ে যাবো আমি।
চেতনার হাল শক্ত মুঠিতে ধরে
চষে যাবো অবিরাম।
অবিরাম আদরের সার
ছড়িয়ে যাবো সমস্ত ক্ষেত জুড়ে।
একদিন, এইসব কৃষিকাজ শেষে
যখন তৃষ্ণার মতো,
বীজ হয়ে ঝরে যাবো শরীরে,মননে,
তুমি কোন একধানক্ষেত-কবিতা হয়ে
ভেসে যেও সমস্ত দুনিয়ার আকাশে।
রাতের কবিতা
শরীরময় আকাশের রূপ নিয়ে
কবিতার রাত আসে ঘরে।
নগ্ন-অবোধ শিশুর মতো
অবাক কৌতুহল জুড়ে,
শিরোনাম ছুঁয়ে দেখেছি।
তীব্র আবেগে কবিতার আকাশ জুড়ে
খুঁজেছি অপূর্ব ধ্রুবতারা।
অনন্ত সময়ের শেষে যখন
অবসন্ন ঘুমিয়েছি শিশিরের বিছানায়,
তুমি দুহাত ভরে ছিটিয়েছ
নক্ষত্রের ছন্দময় সব আলো।
প্রেমে প্রেমে ভোর হয়ে গেছে
সমস্ত রাতের কবিতা।
কবি
এক লক্ষ 'সত্যম,শিবম,সুন্দরম' পেরনোর পরেও,
দেখো এখনো হৃদয়ে রক্তের বৃষ্টিপাত।
চোখ টলটলে দীঘি।
তাই খুব গোপনে একদিন
কান্না আর রক্তের ঋণ আমি শোধ করে যাবো।
সময়ের কাছে গচ্ছিত রেখে যাবো এক নিস্তব্ধ অগ্ন্যূৎপাত।
ব্যাভিচার ও আমি
শরীরের কবিতাকে শাবলের গুঁতোয় ক্রমাগত চুরমার করে
কবিতার শরীরকে ছুরিকাহত করে চলেছি।
এখনো ঠিক জানি না,
ব্যাভিচার কাকে বলে?
নিষ্ঠুরতম স্নেহে,যতনে পরাচ্ছি
কবিতার শরীরে, শরীরের কবিতার জামা।
সন্দেহ থেকে যায় তবু ব্যাভিচারের সংজ্ঞায়।
ব্যাবহারিক জীবনযাত্রায়,
শুধুমাত্র রাত্রেই দরজা ঠেলে ঢোকে
কবিতা আর শরীর।
রাত হেঁটে হেঁটে যায় গভীর রাতের দিকে,
ভোর হয়।দিন। রাত্রির প্রতীক্ষা।
আয়ত্তে আসছে না তবু ব্যাভিচার।
তোমাকে
জানি লিখব দেশলাই কাঠি ,
জ্বলবে আগুন।
ধক-ধক কান্না লেপে দেওয়া শব্দের গায়ে
লিখব বিপ্লব গোনা প্রহর।
জুবুথুবু পড়ে থাকা শিকড়ে
জুড়ে দেব দিগন্ত উরানের ডানা।
তবু যদি বল কবিতার নাম হবে ভালবাসা,
কান্নার আগুন পেরিয়ে একদিন সব শব্দরা বেঁচে যাবে।
bhishon bhalo
উত্তরমুছুনsobkotii osombhob bhalo. tumi onekdin jabe Indranil
উত্তরমুছুন