আবাহনী
গিরিসুতা,হেমকান্তি,দুর্গতি নাশিনী,
হরপ্রিয়া,মহামায়া,গনেশ জননী।
পুত্র বীর কার্তিকেয় দেব সেনাপতি,
রূপগুণ ধন্যা সুতা,লক্ষ্মী,সরস্বতী।
মহাতেজাঃ দশভুজা,দশ প্রহরণ
শোভিতা,কেশরীরাজ ভয়াল বাহন।
দনুজদলনী,ভালে শোভে ত্রি-লোচন,
ষড়ৈশ্বর্য প্রদায়িনী,বন্দ্যা ত্রিভুবন।
আদিভূতা,সর্ব ভূতে শক্তি রূপে স্থিতা,
তমোগুণ বিনাশিনী,ভদ্রা,জগন্মাতা।
রূপ,যশ,জয় দাত্রী,অভয়া রুদ্রাণী,
ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু,কৈবল্য দায়িনী।
দেব,দ্বিজ,শূর,নর,পূজে সর্ব জনে,
শারদীয় মহাপূজা অকাল বোধনে।
মেনকার আবেদন
কহিলা আনত স্বরে,মেনকা সুন্দরী,
শুন নাথ গিরিরাজ,মিনতি যে করি-
"বর্ষ আজি গতপ্রায়,অন্তরেতে দুঃখী,
কত কাল হেরি নাই উমা বিধুমুখী।
রূপে-গুণে শ্রেষ্ঠা উমা,রাজার ঝিয়ারী,
জামাতা লভিনু নাথ,মহেশ ভিখারী।
কটিদেশে ব্যাঘ্রচর্ম,শিরে জটাজাল,
ভস্মাবৃত সর্ব অঙ্গ,গলে নাগ মাল।
বৃষভ বাহন,কর্ণে ধুতুরার ফুল,
রুদ্রাক্ষ ভূষণ মাত্র,আয়ুধ ত্রিশূল।
শ্মশানে মশানে স্থিতি,ডমরু বাজায়,
ভূত প্রেত সহচর,লাজে মরি হায়!
একবার আনো উমা,করিতেছি পণ,
দিব না ফিরিতে তারে কৈলাস সদন।"
নবমী রজনী শেষে
নবমী রজনী শেষে,ঊষার লগনে,
মিনতি করিছে উমা নিশাপতি সনে-
"যেয়ো না বিদায় লয়ে,শুন নিবেদন,
তুমি গেলে গগনেতে উদিবে তপন।
নবমীর অবসানে,দশমীর প্রাতে,
প্রাণপ্রিয় পিতৃগৃহ হইবে ত্যজিতে।
জনম দুঃখিনী নারী পুরুষের বশে,
পিতা-মাতা ছাড়ি রহে পতির আবাসে।
বর্ষকালে চারি দিন পিত্রালয়ে স্থিতি,
পূরে কি মনের আশ ? কহ নিশাপতি।
দয়া করি দুঃখিনীরে,বিচর গগনে,
প্রাণ ভরি শেষ বার দেখি পরিজনে।"
এতেক কহিয়া উমা অশ্রুজলে ভাসে,
দশমীর বার্তা লয়ে দিবাকর হাসে।
গিরিসুতা,হেমকান্তি,দুর্গতি নাশিনী,
হরপ্রিয়া,মহামায়া,গনেশ জননী।
পুত্র বীর কার্তিকেয় দেব সেনাপতি,
রূপগুণ ধন্যা সুতা,লক্ষ্মী,সরস্বতী।
মহাতেজাঃ দশভুজা,দশ প্রহরণ
শোভিতা,কেশরীরাজ ভয়াল বাহন।
দনুজদলনী,ভালে শোভে ত্রি-লোচন,
ষড়ৈশ্বর্য প্রদায়িনী,বন্দ্যা ত্রিভুবন।
আদিভূতা,সর্ব ভূতে শক্তি রূপে স্থিতা,
তমোগুণ বিনাশিনী,ভদ্রা,জগন্মাতা।
রূপ,যশ,জয় দাত্রী,অভয়া রুদ্রাণী,
ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু,কৈবল্য দায়িনী।
দেব,দ্বিজ,শূর,নর,পূজে সর্ব জনে,
শারদীয় মহাপূজা অকাল বোধনে।
মেনকার আবেদন
কহিলা আনত স্বরে,মেনকা সুন্দরী,
শুন নাথ গিরিরাজ,মিনতি যে করি-
"বর্ষ আজি গতপ্রায়,অন্তরেতে দুঃখী,
কত কাল হেরি নাই উমা বিধুমুখী।
রূপে-গুণে শ্রেষ্ঠা উমা,রাজার ঝিয়ারী,
জামাতা লভিনু নাথ,মহেশ ভিখারী।
কটিদেশে ব্যাঘ্রচর্ম,শিরে জটাজাল,
ভস্মাবৃত সর্ব অঙ্গ,গলে নাগ মাল।
বৃষভ বাহন,কর্ণে ধুতুরার ফুল,
রুদ্রাক্ষ ভূষণ মাত্র,আয়ুধ ত্রিশূল।
শ্মশানে মশানে স্থিতি,ডমরু বাজায়,
ভূত প্রেত সহচর,লাজে মরি হায়!
একবার আনো উমা,করিতেছি পণ,
দিব না ফিরিতে তারে কৈলাস সদন।"
নবমী রজনী শেষে
নবমী রজনী শেষে,ঊষার লগনে,
মিনতি করিছে উমা নিশাপতি সনে-
"যেয়ো না বিদায় লয়ে,শুন নিবেদন,
তুমি গেলে গগনেতে উদিবে তপন।
নবমীর অবসানে,দশমীর প্রাতে,
প্রাণপ্রিয় পিতৃগৃহ হইবে ত্যজিতে।
জনম দুঃখিনী নারী পুরুষের বশে,
পিতা-মাতা ছাড়ি রহে পতির আবাসে।
বর্ষকালে চারি দিন পিত্রালয়ে স্থিতি,
পূরে কি মনের আশ ? কহ নিশাপতি।
দয়া করি দুঃখিনীরে,বিচর গগনে,
প্রাণ ভরি শেষ বার দেখি পরিজনে।"
এতেক কহিয়া উমা অশ্রুজলে ভাসে,
দশমীর বার্তা লয়ে দিবাকর হাসে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন