এই সংখ্যার কবি
তপব্রত মুখার্জির পাঁচটি কবিতা
- ১ -
সমস্ত রাত, সমস্ত দিন চুপ করে থাকার পর মেয়েটা জল ছাপিয়ে বলে উঠেছিলঃ "চলে যায় কেন"?
কোন উত্তর ছিল না। সোয়েটারের হাতায় জল মুছে নিলেও দাগটা থেকেই যায়।
মেয়েটার বাড়ির জানলা দিয়ে খোলা রাস্তা... আর একটু পর চেনা মানুষ টাকে কাঁধে করে নিয়ে যাবে সকলে।
ভোরবেলাকার কোন কোন বিছানায় শুধু এলোমেলো চাদরের ভাঁজগুলো রয়েই যায়... সোজা করে নিতে ইচ্ছে করে না। দুএকটুকরো রুমাল এদিক-ওদিক ছড়িয়েই থাকে সেসব দিন।
জলের গায়ে বিকেল রঙের মেঘ। ফেরার গায়ে হারিয়ে যাবার ঠিকানারা। মেয়েটার জানলা পেরিয়ে অধোমুখ দিন, বিকেল-পাতা কুড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে চুপচাপ।
মেয়েটার প্রশ্ন পেরিয়ে আরও একটা সন্ধ্যে, আরও একটা রাত নামবে; একটা শীত-রঙের অন্ধকার থেমে থাকবে পর্দার ওপারটায়... যাওয়ার মোড়ে অচেনা উত্তরের ভিড়-- জমতে জমতে পাথর হয়ে ওঠার শব্দ শুধু...।।
- ২ -
বেঁচে থাকবার জন্য একটা খোলা ছাদ দরকার। এটা লিখতে লিখতেই মনে পড়ছে, কতদিন উপরতলার ছাদটায় গিয়ে দাঁড়াইনি।
চাবিটাও যেন কোথায় হারিয়ে ফেলেছি...
- ৩ -
কিছু কিছু শব্দমেঘ শুধুই বদলাতে চায়... আর শেষবেলায় পড়ে থাকে দু-একটুকরো ইচ্ছে। আমাদের মনখারাপের রঙ নেই; অনেকটা সন্ধ্যেবেলার মতো। অন্ধকার নেমে এলে আলো জ্বলবে। আমাদের বাড়িগুলো একএকটা বাঁকের মুখে...
সমস্ত বাঁকের একেকটা নাম ছিল এককালে... দরজা পেরিয়ে এলে ভুলে যাওয়াটাও কতটা সহজ হয়ে আসে, না?
- ৪ -
যাওয়াটাই দেখেছ শুধু?
বাকি যে পথ বেয়ে ফিরে গেছে আমাদের নাম,
ক্লান্তিহীন অভিলাষ ছুঁয়ে বয়ে গেছে শ্বাস, ঘুম-জ্বর, স্বপ্নমেঘ যত :
কিছুই দেখনি কি?
আমাদের থেমে থাকা ছিল, একসাথে ফেরার শব্দেরা,প্রবহমান...
দিন চলে গেলে পথ পড়ে নেয় কিছু আলোক-বিষাদ--
একা একা পার হয়ে যাওয়া হাত বহুদিন আবছায়া খুঁজে গেছে চরাচর
যে পারের ঠিকানায় শিশিরের ডাক..
কিছুই শোননি তুমি?
যাওয়াটাই দেখেছ শুধু?... ফেরা-টা
কখনোই দেখো নি?
- ৫ -
বেঁচে থাকতে কখনও একটা ভগ্নাংশই যথেষ্ট...
এবং অভ্যস্ত শ্বাস...
আমাদের বাকিটুকু শিশির বা অপেক্ষারীতি, গলিত জ্যোৎস্না ও তারকারা
পড়ে নেবে স্বাভাবিক...
তারপর দু-আঁজলা মাটি রেখে যেও,
তারপর, তুমি শুধু ফুল রেখে যেও, দেশ...।।
- ১ -
সমস্ত রাত, সমস্ত দিন চুপ করে থাকার পর মেয়েটা জল ছাপিয়ে বলে উঠেছিলঃ "চলে যায় কেন"?
কোন উত্তর ছিল না। সোয়েটারের হাতায় জল মুছে নিলেও দাগটা থেকেই যায়।
মেয়েটার বাড়ির জানলা দিয়ে খোলা রাস্তা... আর একটু পর চেনা মানুষ টাকে কাঁধে করে নিয়ে যাবে সকলে।
ভোরবেলাকার কোন কোন বিছানায় শুধু এলোমেলো চাদরের ভাঁজগুলো রয়েই যায়... সোজা করে নিতে ইচ্ছে করে না। দুএকটুকরো রুমাল এদিক-ওদিক ছড়িয়েই থাকে সেসব দিন।
জলের গায়ে বিকেল রঙের মেঘ। ফেরার গায়ে হারিয়ে যাবার ঠিকানারা। মেয়েটার জানলা পেরিয়ে অধোমুখ দিন, বিকেল-পাতা কুড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে চুপচাপ।
মেয়েটার প্রশ্ন পেরিয়ে আরও একটা সন্ধ্যে, আরও একটা রাত নামবে; একটা শীত-রঙের অন্ধকার থেমে থাকবে পর্দার ওপারটায়... যাওয়ার মোড়ে অচেনা উত্তরের ভিড়-- জমতে জমতে পাথর হয়ে ওঠার শব্দ শুধু...।।
- ২ -
বেঁচে থাকবার জন্য একটা খোলা ছাদ দরকার। এটা লিখতে লিখতেই মনে পড়ছে, কতদিন উপরতলার ছাদটায় গিয়ে দাঁড়াইনি।
চাবিটাও যেন কোথায় হারিয়ে ফেলেছি...
- ৩ -
কিছু কিছু শব্দমেঘ শুধুই বদলাতে চায়... আর শেষবেলায় পড়ে থাকে দু-একটুকরো ইচ্ছে। আমাদের মনখারাপের রঙ নেই; অনেকটা সন্ধ্যেবেলার মতো। অন্ধকার নেমে এলে আলো জ্বলবে। আমাদের বাড়িগুলো একএকটা বাঁকের মুখে...
সমস্ত বাঁকের একেকটা নাম ছিল এককালে... দরজা পেরিয়ে এলে ভুলে যাওয়াটাও কতটা সহজ হয়ে আসে, না?
- ৪ -
যাওয়াটাই দেখেছ শুধু?
বাকি যে পথ বেয়ে ফিরে গেছে আমাদের নাম,
ক্লান্তিহীন অভিলাষ ছুঁয়ে বয়ে গেছে শ্বাস, ঘুম-জ্বর, স্বপ্নমেঘ যত :
কিছুই দেখনি কি?
আমাদের থেমে থাকা ছিল, একসাথে ফেরার শব্দেরা,প্রবহমান...
দিন চলে গেলে পথ পড়ে নেয় কিছু আলোক-বিষাদ--
একা একা পার হয়ে যাওয়া হাত বহুদিন আবছায়া খুঁজে গেছে চরাচর
যে পারের ঠিকানায় শিশিরের ডাক..
কিছুই শোননি তুমি?
যাওয়াটাই দেখেছ শুধু?... ফেরা-টা
কখনোই দেখো নি?
- ৫ -
বেঁচে থাকতে কখনও একটা ভগ্নাংশই যথেষ্ট...
এবং অভ্যস্ত শ্বাস...
আমাদের বাকিটুকু শিশির বা অপেক্ষারীতি, গলিত জ্যোৎস্না ও তারকারা
পড়ে নেবে স্বাভাবিক...
তারপর দু-আঁজলা মাটি রেখে যেও,
তারপর, তুমি শুধু ফুল রেখে যেও, দেশ...।।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন