রিক্টারের কাটায়
এক
সেই কাকভোরে বৃষ্টি শুরু। ঝিরঝিরে। থামবে না। স্বভাব। চরিত্রের স্বভাব। ভরা পৌষের পাথর জমা শীত। খাঁচার রিক্টারে চার-এর কম তো নয়ই। পথ চলতি হাতে গোনা কয়েকটি প্রাণী, বিক্ষিপ্ত এদিক-ওদিক। পথের ধারে ঝাপসা এক্রিলিকে স্বপ্নের আদুরে প্রেম। ভেজা বট্ চারপেয়ে ঝাঁকুনির অপেক্ষায়। ফুটপাথের পশ্চিমে কানাগলির বস্তি। খড়কুটো জ্বালিয়ে সেঁকে নিচ্ছে হাত। কখনো পা’ও। অবশ স্নায়ু কোমায়, জেগে উঠতে চায়। খুব ইচ্ছা। উপায় ?
দুই
জানলা খোলা রেখে ঘর পালানো। মনের বিকার বুঝি। চাদর মোড়া শীতে একা হাটতে পাওয়া। খানিক স্বস্তি। মজাও খানিক। হা করলেও ধোঁয়া নেই। খাঁজে খাঁজে বরফ কুচি। গরম বাড়লে গলবে। জল হবে। ধোঁয়া বেরুবে না। কত খুঁত। মস্ত খুঁত বটে। ঘুলঘুলি লাগাতে বেমালুম ভুলেছে। পাকিয়ে ধোঁয়া জমছে। রিক্টার চার ছাড়ালো। এখুনি। কিন্তু ধোঁয়ার ঘাম?
এক
সেই কাকভোরে বৃষ্টি শুরু। ঝিরঝিরে। থামবে না। স্বভাব। চরিত্রের স্বভাব। ভরা পৌষের পাথর জমা শীত। খাঁচার রিক্টারে চার-এর কম তো নয়ই। পথ চলতি হাতে গোনা কয়েকটি প্রাণী, বিক্ষিপ্ত এদিক-ওদিক। পথের ধারে ঝাপসা এক্রিলিকে স্বপ্নের আদুরে প্রেম। ভেজা বট্ চারপেয়ে ঝাঁকুনির অপেক্ষায়। ফুটপাথের পশ্চিমে কানাগলির বস্তি। খড়কুটো জ্বালিয়ে সেঁকে নিচ্ছে হাত। কখনো পা’ও। অবশ স্নায়ু কোমায়, জেগে উঠতে চায়। খুব ইচ্ছা। উপায় ?
দুই
জানলা খোলা রেখে ঘর পালানো। মনের বিকার বুঝি। চাদর মোড়া শীতে একা হাটতে পাওয়া। খানিক স্বস্তি। মজাও খানিক। হা করলেও ধোঁয়া নেই। খাঁজে খাঁজে বরফ কুচি। গরম বাড়লে গলবে। জল হবে। ধোঁয়া বেরুবে না। কত খুঁত। মস্ত খুঁত বটে। ঘুলঘুলি লাগাতে বেমালুম ভুলেছে। পাকিয়ে ধোঁয়া জমছে। রিক্টার চার ছাড়ালো। এখুনি। কিন্তু ধোঁয়ার ঘাম?
তিন
বছর সাতেকের পুরনো। পড়ে পড়ে ধুলো মেখেছে। ঝাড়পোছে এখন সাদা। কোথাও একটু ধূসর। চেয়ে আছে। নতুন কেনা জল রঙে তুলি টানছে প্রলয়। ক্যানভাস শুষে নিচ্ছে নরম আদর। অভিমানী মুখ লজ্জায়, ঘোমটায়। সবুজে-হলুদে। তুলি শেষে ব্রাশ। কনুই-এর জোর ধাক্কায় কোমর নীল। সরেছে আড়াল। বরফ জলে চকচকে আয়না। নীল সমুদ্রের হাতছানি। প্রলয় শান্ত আজ। রিক্টার সাড়া দেয় না।
ধুলো পায়ে
প্রণাম করতে থমকে গেছি। পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ধরেছ তাকে। যত্নে ধরেছ ধুলো
সব । তুলেছি মুহূর্তে। ধুলো মাথায় করে ঘুরেছি কতো। পায়ে হেটে। ধুলো
পথে। ধুলো হব, লোভ ছিল। পায়ে পায়ে ঘুরব জেনে পেছন হাটা। এক পা, দু পা।
প্রথম শুরু পথের শেষে । ধুলো হইনি, ধরিনি পায়ে।
অঙ্গুষ্ঠ-প্রমাণ ধুলো-পায়ে বসে ছিল।
প্রণাম করতে থমকে গেছি। পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ধরেছ তাকে। যত্নে ধরেছ ধুলো
সব । তুলেছি মুহূর্তে। ধুলো মাথায় করে ঘুরেছি কতো। পায়ে হেটে। ধুলো
পথে। ধুলো হব, লোভ ছিল। পায়ে পায়ে ঘুরব জেনে পেছন হাটা। এক পা, দু পা।
প্রথম শুরু পথের শেষে । ধুলো হইনি, ধরিনি পায়ে।
অঙ্গুষ্ঠ-প্রমাণ ধুলো-পায়ে বসে ছিল।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন